রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ রাজাপুরের বাগড়ি ব্রাক অফিস এলাকার শ^শুর হাবিব গাজি ও তার বড় ছেলে ভাশুর আরিফ গাজির বিরুদ্ধে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী আলিমা জামান মৌমিতা (বাণী) কে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাবিব গাজীর ভবনে এ ঘটনা ঘটে। বাণী হাবিব গাজীর ছোট ছেলে আসিফ গাজীর স্ত্রী। বাণীর পিতা রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মনিরুজ্জামানের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজাপুর থানা পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে এবং স্বজনরা রাতে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। জানা গেছে, ২ বছর আগে উপজেলার বাগড়ি ব্রাক অফিস এলাকার শ^শুর হাবিব গাজির ছোট ছেলে আসিফ গাজীর সাথে বাণীর পিতা রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মনিরুজ্জামানের মেয়ে আলিমা জামান মৌমিতা (বাণী) প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছেলের পরিবার তা মেনে নেয়নি এ নিয়ে দীর্ঘদিন বৈরিতার পর দুই পরিবারের মধ্যে সু সম্পর্কক হলেও ভরন পোষণসহ সকল সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ^াস দিয়ে মেয়ের পরিবারের কাছেই বাণীকে দীর্ঘদিন রাখলেও ছেলের পরিবার বাণীকে ঘরে তোলেনি। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ আলিমা জামান মৌমিতা (বাণী) অভিযোগ করে জানান, বর্তমানে বাণীর স্বামী আসিফ ঢাকায় রয়েছেন এবং বাণীর ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় পরেও শ^শর বাড়ির লোকজন কোন খোজ খবর না নেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে আসিফ গাজীর ঘরে গেলে শ^শুর হাবিব গাজি ও তার বড় ছেলে ভাশুর আরিফ গাজি তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন। পারিবারিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খোজখবর নেয়া বা ভরনপোষণের কোন প্রতিশ্রুতি তারা রাখেননি। নিরুপায় হয়ে স্বামীর বাড়ি থাকার জন্য গেলে তারা অমানষিক নির্যাতন করেছে। বাণীর পিতা রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তা তার মেয়েকে উদ্ধার চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসলে আবার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গভীর রাতে তাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা গ্রহন বা নির্যাতনকারীদের কাউকে আটক করেনি। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শ^শুর হাবিব গাজি নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলে আসিফ গাজির মাধ্যমে বাণীর খোজখবর ও যখন যেটা প্রয়োজন তা মিটানো হচ্ছে। বর্তমানে আসিফ গাজি ঢাকায় রয়েছে, কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের ইন্দ্রনে হঠাৎ বাণী বাড়িতে আসলে তাকে তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়েছে। কারন তার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাবার বাড়ি থাকাই ভাল। তাকে কেহ নির্যাতন করেনি। রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ওসি আরও জানান, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ঝামেলা চলে আসলে সেসব বিষয়ে আদালতে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply